প্রতিনিধি ২১ ডিসেম্বর ২০২২ , ৫:৩৪:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
জহির সিকদার,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-১০ আসনের এমপি অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেছেন, রাজনীতিকে বিকেন্দ্রীকরণ করা, সব পেশার মানুষকে নির্যাতন করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরও তারা কারাগারে পাঠিয়েছিল। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে রূপ দেখেছি। কাজেই মানুষ এখন আর সেটি চিন্তাই করতে পারে না। নেড়া বারবার বেল তলায় যায়না, একবারই যায়।
সুতরাং সংবিধানের বাইরে কোন সিদ্ধান্ত নয়, আগামী নির্বাচন অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারেরর অধীনেই হবে।
মঙ্গলবার রাতে আশুগঞ্জ সরকারি শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র মাঠে সমন্বিত সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র আয়োজিত ১০ দিন ব্যাপি বিজয় মেলার পঞ্চম দিবসে মুখ্য আলোচকের বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সমন্বিত সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের সভাপতি প্রফেসর শরীফুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্স সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হেফজুল বারী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সালাউদ্দিন প্রমুখ।
মুখ্য আলোচকের বক্তৃতায় অ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি আরো বলেন জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। তিনি বিনা বিচারে হাজার হাজার সেনা-নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যা করেছেন।
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মাত্র দু-তিন বছরের ব্যবধানে জিয়ার ভূমিকাই প্রমান করে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, পাকিস্থানের গুপ্তচর ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালন ও পরিচালনায় ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহীন সিকদার।