প্রতিনিধি ১২ ডিসেম্বর ২০২২ , ৯:৪৬:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত নির্মাণাধীন নতুন রেললাইন দিয়ে আগামী বছরের(২০২৩ সাল) জুন মাসের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হবে ।
আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্প পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। রবিবার(১১ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের জন্য আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন সংযোগটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ শেষে লাইনটি চালু হলে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। এর পাশাপাশি দুই দেশের মানুষ সহজেই বাংলাদেশ এবং ভারতে যাতায়াত করতে পারবে।
আখাউড়া-লাকসাম প্রকল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ১৭ কিলোমিটার রেল লাইন যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।তা ছাড়া তিনি আরো বলেন, রেলওয়ে প্রকল্পের কাজের সময় তিনবার বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে সময় বাড়বে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, উক্ত প্রকল্পের অধিকাংশ কাজই সম্পন্ন হয়েছে। এখন যতটুকু কাজ বাকি আছে তাতে করে আশা করা যায়,২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের বাকি কাজগুলো তারা সম্পন্ন করতে পারবে।
পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথ সম্পর্কে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ধীরে ধীরে সবগুলো রেলপথকে মিটার গেজ থেকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। তেমনী ভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথকে ও পর্যায়ক্রমে মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজে পরিণত করা হবে এবং হবে। তেমনিভাবে আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত যে রেলপথ আছে সেটিকেও ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।
ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর বাধার মুখে কিছু জায়গার কাজ স্থগিত আছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পরিদর্শনের সময় কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রকল্প কাজের যেখানে বাধা দেওয়া আছে সে অংশের কাজ বাকি রেখে প্রকল্পের বাকি অংশের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উক্ত প্রকল্পের(আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশের কাজ যার দৈর্ঘ্য ৬.৮ কিলোওয়াট) পরিদর্শনের সময় রেলপথ মন্ত্রীর সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, লাকসাম-আখাউড়া প্রকল্পের পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ও আখাউড়া-আগরতলাপ্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়াসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতনকর্মকর্তারা।