প্রতিনিধি ১৫ মার্চ ২০২৩ , ৭:১১:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
আলমগীর হোসেন,বিজয়নগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার ২নং চান্দুরা ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের ফকির বাড়ির মৃত মর্তুজ আলীর কন্যা হুসনা আক্তার (১৬) বুধবার ভোর ৩টায় রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, গত চারমাস আগে অপ্রাপ্তবয়স্কা হুসনা আক্তারকে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে বিবাহ দেওয়া হয়। বিবাহের পাচঁ দিনের মাথায় স্বামীর বাড়ি থেকে ফিরতি এসে আর সে স্বামীর বাড়িতে যাইতে ইচ্ছুক না। মাতৃকুলে বসবাস করে আসছে।
হুসনা আক্তারের মা রোশানা বেগম বলেন, আমার মেয়ের মাথায় সমস্যা স্বামীর বাড়িতে যাইতে চায় না, আগে আরো অনেকবার কবিরাজ লাগিয়েছি, ঘটনার রাতে সাড়ে তিনটা বাজে বাথরুমের কথা বলে বাহিরে গিয়েছিল, বাথরুম শেষে ঘরে আসার পর, আবারো বলে বাথরুমে যাবে, এ কথা শুনে আমি তাকে বকাঝকা করলাম। একটু পরে বাহির থেকে আওয়াজ আসলে আমি বাহিরে গিয়ে দেখলাম হোসনা মাটিতে পড়ে দাফরাদাপরি করতেছে, পরে আমার ঘরে থাকা আরেক মেয়ের জামাই ছিল, ডেকে বাহির করলাম পরে হোসনা আমাকে বলল তার শরীরে পানি দিতে, আমি পানি দিলাম, কিছুক্ষণের ভিতর সে মৃতবরন করলে, আমি প্রতিবেশীকে ডাকলাম ও সবাইকে জানালাম।
প্রতিবেশী আদিসুর আলী বলেন, আমি অনুমান ৬টা বাজে খবর পেয়ে, এসে দেখি মৃত্যু অবস্থায় উঠানে পড়ে আছে। মেয়েটা স্টক করে মারা গেছে, তার চেয়ে বেশি কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) বিমল কর্মকার মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মৃত দেহটা আমরা ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি, প্রাথমিক পর্যায়ে কোন কীটনাশক এর কারণে এই অঘটন ঘটেছে বলে মনে হয়নি, আমরা শুধু দেখেছি মুখে লালা বের হচ্ছে, বর্তমানে মৃতের মা বিজয়নগর থানায় এক অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন।