প্রতিনিধি ১৩ অক্টোবর ২০২৩ , ৫:০৪:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
আলমগীর হোসেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে প্রশিকার আয়োজনে মাদক সেবন ও বিক্রয় প্রতিরোধে টেলিফিল্ম এর মাধ্যমে, জনসচেতনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১২ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায়, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের আড়িয়ল উচ্চবিদ্যালয়ে ক্লাস রুমে, বিদ্যালয়ের শিক্ষক লিটন দেব এর সঞ্চালনায়, ও প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মেহেদী হাসান খান শাওন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হাসান জামিল খান, জেলা সহকারী পরিচালক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, মো: মিজানুর রহমান, চেয়ারম্যান ৩নং ইছাপুরা ইউনিয়ন, জিয়াউল হক বকুল, সভাপতি আড়িয়ল উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ইছহাক সরকার, উপ-প্রধান নির্বাহী প্রশিকা উন্নয়ন কেন্দ্র মো: আব্দুল হাকিম, সিএফও প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন,শক্তিপদ চক্রবর্তী, উপ-পরিচালক প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র, এ এস এম বজলুল গনি বুলবুল, সিনিয়র সহকারী পরিচালক প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র, প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, জেলা এনজিও বিষয়ক সমন্বয়কারী, এস এম শাহিন, বিভাগীয় ব্যবস্থাপক প্রশিকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চল-১, মোঃ শাহনেওয়াজ, বিভাগীয় ব্যবস্থাপক প্রশিকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চল-২, অনুপ কুমার সাহা, ও জাতীয় দৈনিক ভোরের দর্পণে সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায়, এলাকা ব্যবস্থাপক প্রশিকা বিজয়নগর উন্নয়ন এলাকা ও এনজিও বিষয়ক সমন্বয়কারী বিজয়নগর উপজেলা, সেলিম মিয়াসহ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা উপস্থিত ছাত্রছাত্রী ও সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, মাদক সেবন ও বিক্রির উভয়ই অপরাধী। আমরা সকলে মিলে প্রতিরোধ করতে হবে। ঘৃণা করে নয়, ভালোবাসা দিয়ে। এবং যে মুখে মা বলি সে মুখে মাদক নয়, স্লোগানে মুখরিত করেন। বক্তারা বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে, মাদকের ভবিষ্যৎবাণী কুফল ধরে তুলেন। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মিজানুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেহেতু বর্ডার এলাকায় অবস্থিত, সেখানে মাদকের ছড়াছড়ি বেশি। এই জেলায় ৫টি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। যেকোনো সময় তথ্য দিয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন। তিনি উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, এখন বর্তমান সরকার চাকরি সময় দ্রুপ টেস্ট এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করেন। যদি কোনো ভালো ছাত্র ছাত্রী ও ওই টেস্টে আটকা পড়ে যায়, তখন তার চাকরি হবে না। তাহলে কি লাভ এত পড়া লেখা করে। সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান থান শাওন তার বক্তব্যে বলেন, তোমরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা কর, আমরা সকলে মিলে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলি। মাদক কোন জাতিকে উন্নত করতে পারে না। একদিন আমার বাবাও ধূমপায়ী ছিলেন, আমি তখন বাবাকে ধূমপান ছাড়াতে বিশেষভাবে অবদান রেখেছি। তিনি উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের হাত ধরে সমাজ মাদকমুক্ত হোওক। এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর টাইপিং করা, এক শপথ বাক্য সকলকে পাঠ করিয়ে বক্তব্য শেষ করেন। পরিশেষে সভাপতি মাদকের কুফল বর্ণনার পরে, একটি শর্ট টেলিফিল্ম উপস্থাপন করে সভা সমাপ্তি করা হয়।