প্রতিনিধি ১৬ জুন ২০২৩ , ৪:২৮:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
আলমগীর হোসেন,বিজয়নগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার ২নং চান্দুরা ইউনিয়নের ডাকবাংলা থেকে চান্দুরা বাজারে হাজারো জনগণ এর বাহক রাস্তাটি অনেক প্রতীক্ষার পর শুরু হলেও কাজের গুণগত মান নিয়ে উঠেছে অভিযোগ।
গত ১৬ই নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকায় ডাকবাংলা থেকে চান্দুরা বাজারে রাস্তার বেহাল দশা নামক শিরোনামে প্রকাশিত নিউজে উল্লেখ ছিল ১০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি এই লাখ লাখ মানুষের ব্যবহৃত রাস্তাটি। যদিও সংস্কারের সমাপ্তি হওয়ার কথা ছিল জুন ২০২৩ইং তারিখে, দেখা যায় জুন ২০২৩ইং সালে সংস্কারের ছোঁয়া দিলেও অপরিপূর্ণ অবস্থায় ছুঁয়ে ছুয়ে চলছে এ সংস্কারের কাজ। কোন না কোন জায়গায় ভুতের ছোঁয়া লেগেছে।
রাস্তায় প্রয়োজনীয় ম্যাটারিয়াল ও রাস্তার কারপিটিংয়ে ছিল না পর্যাপ্ত বিটমিন ও ছিলনা মানসম্মত ম্যাগাডম, ব্যবহৃত হয়েছে তিন নাম্বার কংক্রিট, হাতে আঁচড় দিতেই হয়ে ওঠে গর্ত। এই প্রাক্তন চান্দুরা বাজারের রাস্তাটি মোট ৮৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের সংস্কারের জন্য মেসার্স চৌধুরী এন্ড কো: ৫১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় সরকারি বরাদ্দ হলেও মেরামতের উপাদান ছিল খুবই নিম্নমানের, যেন বৃষ্টির ছোঁয়াতেই পাল্টে যাবে পূর্ব আকৃতিতে।
এ বিষয়ে প্রতিদিনের পথচারী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কালিসীমা গ্রামের হাজী মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী বলেন, প্রতীক্ষার আজ ১২বছর কষ্টের ফল ঠিকাদার আমাদের এভাবে দিবে আমরা ভাবিনি, রাস্তার কার্পেটিং আদু শেষ না হতেই তিন চার জায়গাতে ফাটল ও ডেভে গেছে। তিনি আরো বলেন, রাস্তার দুই পাশে ১ফুট করে চওড়া করলেও ব্যবহার করে নিম্নমানের অপর্যাপ্ত উপাদান, দেখা যায় পুরাতন উপাদান দিয়েই পাতলা করে কার্পেটিং এর লেপ সেভ দিয়ে তৈরি করতেছে। উপজেলা দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার এসব দেখে ফাঁকে ফাঁকে আবার কিছু জায়গাতে রিপেয়ার করছে, করলে কি হবে এটা হল মন বুঝানো।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত উপজেলা প্রকৌশলীকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান খান শাওন বলেন, কাজের অনিয়মের বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে, সকালে আমি গিয়ে রাস্তাটি পরিদর্শন করিয়াছি, আবারো যাব, রাস্তার কাজ এখন বন্ধ আছে, এবং দায়িত্বরত উপজেলা প্রকৌশলীকে বিষয়টা অবগত করেছি, এবং বলেছি সঠিকভাবে নিয়ম মেনে কাজ করার জন্য বলেছি।