প্রতিনিধি ২২ জুলাই ২০২৩ , ৩:২৭:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
রাষ্ট্রীয় ব্লগ রিপোর্টঃ
মাদক সেবন, নারীদেহ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত থাকায় অভিযোগ, অভিযান, গ্রেফতার, মামলা হওয়ার পরেও আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রাজধানীর গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকার স্পা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটরা। স্পা সেন্টার বা পার্লারের নামের আড়ালে এসমস্ত সেন্টারগুলোতে চলছে মাদক সেবন ও নারীদেহ বাণিজ্য। মাদকের মারণ ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে এদেশের যুব সমাজ। আর এসব সেন্টারে নারী কর্মীদের বেশির ভাগই রোজগারের আশায় গ্রাম থেকে শহরে এসে দালাল চক্রের খপ্পোরে পড়ে অনেক নারীরাই হাড়াচ্ছেন তাদের সতীত্ব।
অভিযোগ রয়েছে অন্ধকার নামার সাথে সাথেই এসব প্রতিষ্ঠানে আনন্দ উল্লাস, মাদক ও যৌনতায় লিপ্ত হন সমাজের উচ্চবৃত্তশালী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরাও।
এসকল স্পা বা পার্লারের মালিকেরা বিভিন্ন রাজনৈতিক ছত্রছায়া ও প্রশাসনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে কিছু অসাধু ব্যক্তিদের ম্যানেজ করেই হরহামেশাই অনৈতিক কর্মকান্ডগুলো পরিচালনা করে আসছেন। কখনো রাজনৈতিক প্রভাব, কখনো বা ওমক ওসি আমার ভাই আবার ওমক সাংবাদিক নেতা তমক হয় পরিচয়ে এরা একপ্রকার প্রভাব খাটিয়েই টিকিয়ে রেখেছেন তাদের পাপাচার। প্রতিবেদনের স্বার্থে তাদের বক্তব্য নিতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রাণনাশের হুমকি ও বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখানো হয়।
কালভদ্রে পুলিশি অভিযানে সেন্টারগুলো সাময়ীক বন্ধ হলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই এদের দৌড়াত্ম আবারো বেড়ে যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গুলশান-২ হোটেল ‘এইচ’এ মাদক ও স্পা ব্যবসায়ী রত্না আক্তার ও তার ম্যানেজার মিলেই পরিচালনা করেন ‘অধরা বিউট পার্লার’ অনলাইন মাধ্যমে দেয়া নাম ‘হ্যাপী থাই স্পা’ নামক মিনি পতিতালয় ও মাদকের আখড়া। কাস্টমারদের আকৃষ্ট করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অর্ধনগ্ন দেহের মডেলদের ছবি ও লোভনীয় সব অফার দিয়ে থাকে এরা।
এছাড়াও কাষ্টমার মেনেজ করতে রয়েছে তাদের একশ্রেণীর দালাল চক্র। নারী দেহের পাশাপাশি খদ্দেরদের চাওয়া মাত্র এখানে মিলবে মাদকের চাহিদা। এতে করে সমাজে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে ব্যভিচার, পাপাচার ও মাদকসেবী।
উক্ত বিষয়ে প্রতিবেদক ‘অধরা বিউটি পার্লার’র মালিক রত্না আক্তারের কাছে তার প্রতিষ্ঠানে স্পা বা বিউটি পার্লারের নাম করে দেহ ব্যবসা করেন কিনা ও মাদকের যোগান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি অকথ্য ভাষায় প্রতিবেদককে গালিগালাজ করেন ও হুমকি প্রদান করে বলেন- গুলশান থানার ওসি আমার আত্মীয়, বেশি বাড়াবাড়ি করলে মাদক ও চাঁদাবাজির মামলায় ঢুকিয়ে দেবো। এবার যা পাড়েন করেন, কত লিখতে পারেন লিখেন।
তার কিছু সময় পড়ে একটি দৈনিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক পরিচয়ে প্রতিবেদককে ফোন করে প্রতিবেদন প্রকাশ না করা ও অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন তিনি।
এছাড়াও অভিযোগে উঠে আসে গুলশান থানায় রত্না আক্তারের নামে একাধিক মানব পাচার দমন আইনে মামলা রয়েছে। উক্ত অবৈধ বিউটি পার্লারের মালিক রত্না নিজেই একসময় খাবারের টাকার জন্য বিভিন্ন অবৈধ বিউটি পার্লার বা স্পা সেন্টারের পতিতা হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং ধিরে ধিরে অবৈধ পথে গড়েছেন ধনসম্পদের পাহাড়।
চলবে…
(ধারাবাহিক প্রতিবেদন-১)