সকল ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন পূর্বাঞ্চল সঙ্গীত  সংগঠন 

হীরা আহমেদ জাকির,ব্রাহ্মণবাড়িয়া। 

একুশের চেতনা আমাদের আত্মমর্যাদাশীল করেছে। দুর্জয় সাহস জুগিয়েছে। ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’- চিরকালের এ স্লোগান আজও সমহিমায় ভাস্বর। একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ, যাবতীয় গোঁড়ামি আর সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে শুভবোধের অঙ্গীকার। ৫২-র ভাষা আন্দোলনেও এর কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি। মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছিল যেসব ভাষা শহীদ, তাদের ত্যাগই আমাদের এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সব ভাষা শহীদের প্রতি   বিনম্র শ্রদ্ধা জানান পূর্বাঞ্চল সঙ্গীত  সংগঠন।

মঙ্গলবার  (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২ঃ১মিনিটে পূর্বাঞ্চল সঙ্গীত  সংগঠনের আহ্বায়ক সঙ্গীত শিল্পী মোঃসেলিম ও সদস্য সচিব সঙ্গীত শিল্পী সম্রাট হোসেন রবিন  ১১ সদস্য আহ্বায়ক কমিটির পক্ষে  শ্রদ্ধা জানানো হয় । রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহীদ দিবস। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল রফিক, সালাম, বরকত, সফিউর, জব্বাররা। তাদের রক্তে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা, মায়ের ভাষা।

বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা সেদিন ঘটেছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। একুশে ফেব্রুয়ারি তাই বাঙালির কাছে চির প্রেরণার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।