সয়ে যাবার সীমা-ফারজানা আফরোজ পারুল - রাষ্ট্রীয় ব্লগ | রাষ্ট্রীয় ব্লগ | জাতীয় ও মানবিক ঐক্যপ্রয়াস
  • শিল্প ও সাহিত্য

    সয়ে যাবার সীমা-ফারজানা আফরোজ পারুল

      প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ , ১১:৫৩:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    ফারজানা আফরোজ পারুল।

    ধৈর্য ধারণ। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এটির খুব দরকার।
    মাথা গরম করা মানে হেরে যাওয়া। এসবই শিখেছি জীবন থেকে। সেই ছোটবেলা থেকেই এই শব্দটি আমার সাথে রক্তেমাংসে মিশে আছে।

    আমার যে রাগ বেশি সেটি আমাকে জানা মানুষগুলার জানা। আবার বিশেষ ক্ষেত্রে আমার যে ধৈর্যধারণ কতটা বেশি সেটিও আমাকে জানা মানুষেরা জানেন। কিন্তু আমিও যে অধৈর্য হয়ে পড়ি না তা নয়।

    সত্যি বলতে,জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই আমাকে ধৈর্য ধারণ করতে হয়েছে। যেদিন বুঝতে শিখেছি, দেখেছি চোখের সামনেই রক্তের স্বজনেরা আমাদের প্রতি অবিচার করে যাচ্ছে, বিনিময় বা প্রতিজবাব দেবার অনুমতি কখনো মা বাবা দেয়নি।

    বাস্তব ও পরিণত এই জীবনে যদি ধৈর্য নামক উপায় অবলম্বন না করতাম তবে মনে হয় রাত দিনে কয়েকবার জীবনটা বদলাতে বাধ্য হতে হতো এবং অবধারিত তার ফল খুব খারাপই হতো। ক্ষমতা যদি আমার দশ পয়েন্ট হয় তবে আমি তার শতভাগ শক্তি নিয়েই ধৈর্য ধরে চলছি।

    আমি জানি না এর উপরে আর কয় দিন অটল থাকতে পারব। আমাকে মনে হয় কবর পর্যন্তই ধৈর্য ধরে চলতে হবে। সবুরে মেওয়া ফলে তারও বাস্তব প্রমাণ আমি। যা চাই তা মন দিয়েই চাই। অথচ সেই আমার নিয়তিতে বারবারই ধৈর্যহারা ভাগ্য জোটে। আমার মন বলে যত রকম অশান্তি চেনা,সবটাই শুধু আমার। মৃত্যুদূতকে কি এই ধৈর্য ধারণ করার সুযোগ দেয়া যায়? সেখানে সম্ভব নয়। তাহলে আমার প্রতি কেনো যেনো সব অবিচার হানা দেয়।
    তবু আফসোস নেই একটুও। যা ঘটবার ঘটবেই।
    আর সেটা মানবার মতো সকল প্রস্তুতি এখন বর্তমান। কাজেই কী পেলাম কী হারালাম এসব প্রভাব ফেলে না আর।

    আল্লাহ ভরসা আর আলহামদুলিল্লাহ সবসময়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ