প্রতিনিধি ১৫ মে ২০২৩ , ৬:১০:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
আলমগীর হোসাইন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ২নং চান্দুরা ইউনিয়নে সাতগাঁও গ্রামের মৃত বদু মিয়ার ছেলে আনার মিয়া, বেড়ে উঠেছে বাবার দ্বিতীয় সংসারের পরিবারে, অনাহারে ও অর্ধাহারে বেড়ে ওঠা আনোয়ারের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে যেন এক মাইল ফলক। জন্মদাত্রী মায়ের গর্ভে শুধু আনোয়ার ও তার এক বোন রয়েছে।
বাবার প্রথম সংসারে সৎ ভাই-বোন থাকলেও অবহেলিত আনোয়ার সৎ ভাইদের সৎ ভাইদের অত্যাচার নিপীড়নে জীবন কাটাতে হচ্ছে পরের বাড়িতে। পাচ্ছেনা তার পিতার সম্পত্তির হিৎসা, গত ১২ই এপ্রিল লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর।
বরাবরের মত অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে আপন সৎ ভাই ইউনুস মিয়া, রমজান মিয়া, ও শাহ আলম এর উপর, বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়েও পিতার ভিঠি বাড়ির প্রাপ্তি উদ্ধারে কোন সুরাহা করতে পারে নাই। অনেক চেষ্টা ফলে প্রতিবন্ধীর খাতায় নাম উঠলেও ভাতা পাওয়ার আশায় অপেক্ষমান। নিজের পিতৃভূমি উদ্ধার করতে না পারায়, জীবন কাটাতে হচ্ছে অন্যের বাড়িতে। প্রতিবন্ধী আনোয়ার জীবিকার তাগিদে সিএনজি চালিয়ে নির্বাহের চেষ্টা, এক পায়ে চালাতে হচ্ছে সিএনজি।
জীবনটা নিয়ে এক বিষময় সময় পার করছে। এরই মাঝে তার চালিত সিএনজিতে, যাত্রী ভেসে মাদক কারবারি, পুলিশের তল্লাশিতে পালিয়ে গেলেও, রেহাই পেলনা প্রতিবন্ধী আনোয়ার হাজত খেটেছে ৮২ দিন, শেষ সম্বল সিএনজিটাও এখন পুলিশের কাস্টডিতে মাটিগরার পথে। পায়নি রেহাই আদালতের কাঠগড়ার হয়রানি।
পেটে আহার না দিলেও আদালতের বোজা বহন করতে হচ্ছে প্রতিবন্ধী আনোয়ারের। সর্বশেষে তিন সন্তান নিয়ে স্ত্রী থেকেও অধুরায় পরিণত হয়েছে তার সংসার। তিন শিশু সন্তানের জননী স্ত্রী তাকে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে যেন জীবন এখন বিষময় করে তুলেছে। পাওয়া যাচ্ছে সব সময় কীটনাশক ঔষধ তার পকেটে।
ভূমিহীন শারীরিক প্রতিবন্ধী আনোয়ার বলেন, আমি এই পৃথিবীতে বাঁচার আর কোন ইচ্ছে নাই, আমি সমাজে অবহেলিত লাঞ্ছিত ন্যায়বিচার বঞ্চিত, আমার পিতার সম্পত্তির ভাগ পাওয়ার জন্য ধারে ধারে ঘুরেও কোন কিনারা পাচ্ছিনা। অবশেষে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে আবেদন করিয়াছি ন্যায় বিচারের জন্য। প্রতিবন্ধী খাতায় নাম উঠলেও পাচ্ছিনা সরকারের কোন উপকার ভুগী ভাতা, ভুমি না থাকায় পাচ্ছিনা মাথা গুজার ঠাই। অবশেষে আমি পুরুষ নির্যাতনের শিকার, বর্তমানে ডিভোর্স প্রাপ্তা। ১১ বছরের কন্যা সন্তান, সান্তনা দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। সে নাকি কাম কাজ করে আমাকে লালন করিবে। আমি এখন সরকারের কর্মচারী কর্মকর্তাদের সহযোগিতায়, সমস্যার সমাধান চাই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট গ্রাম আদালতের কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, নিষ্পত্তির জন্য। তারপরও আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখতেছি।