বিজয়নগরের স্বামীর অজান্তে স্ত্রীকে প্রবাস  প্রেরণের অভিযোগ - রাষ্ট্রীয় ব্লগ | রাষ্ট্রীয় ব্লগ | জাতীয় ও মানবিক ঐক্যপ্রয়াস
  • সারাদেশ

    বিজয়নগরের স্বামীর অজান্তে স্ত্রীকে প্রবাস  প্রেরণের অভিযোগ

      প্রতিনিধি ১২ আগস্ট ২০২৩ , ৪:৫৫:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

    আলমগীর হোসেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলায় ২নং চান্দুরা  ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের ইউনুস আলীর একমাত্র প্রবাসী ছেলে বাবুল মিয়ার স্ত্রীকে, স্বামী সহ শশুর শাশুড়ির অজান্তে প্রবাসে প্রেরণের অভিযোগে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন আড়িল গ্রামের মিশির আলী, স্ত্রী আরুফা বেগম কন্যা কোহিনুরকে বিবাদী করে বিজয়নগর থানায় অভিযোগ করেছে শাশুড়ি আয়েশা খাতুন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত তিন বছর আগে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন আড়িয়ল গ্রামের মিশির আলীর কন্যা কোহিনুরের সাথে প্রবাসী বাবুল মিয়া পারিবারিক সম্মতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের কিছুদিন পর বাবুল কর্মস্থলে ফিরে গেলে, খালি বাড়িতে স্ত্রী কোহিনুর আত্মহত্যার মতো অকারেন্স ঘঠানো সহ বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা শুরু করলে, কোহিনুর এর অভিভাবককে জানানোর পরে এভাবেই রয়ে গেল। বর্তমানে কোহিনুর প্রায় ৯/১০ মাস যাবত কোহিনুরকে বাবার বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে গেলে, যাওয়ার অল্প সময়ে স্বামীর অধিকতর নিকটস্থ সম্পর্ক গড়ে, আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার বাবুল তার বন্ধু, জেলার সরাইল থানার আলম মিয়ার হাতে গত ৩০শে অক্টোবর ২০২২ইং সালে দেশে আসার সময় পঠালে, স্ত্রী কোহিনুর অলংকার গ্রহণ করেন, এবং বাবুলের বাড়িতে নতুন ঘর উঠানোর জন্য ব্যুরু বাংলাদেশ এনজিও চান্দুরা শাখা থেকে ৩লক্ষ টাকা উঠালে, সে টাকাটা ঘরের কাজ অসম্পূর্ণ রেখে আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। কোহিনুর বাবার বাড়িতে নিজেকে আত্মগোপনে রেখে  স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সাথে সবরকম যোগাযোগ বন্ধ রেখলে, বাবুল বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগে ব্যর্থ হন, অবশেষে বাবুলের মা পুত্রবধুর সন্ধান পেতে কোহিনুর এর বাবার বাড়িতে গেলে অশালীন গালিগালাজ করে কয়েকবার বিতাড়িত করেন। পুত্রবধূর সন্ধানে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের খবর পান, কোহিনুরকে অন্যত্র বিবাহ দিয়েছে আবার কেহবা বলেন, প্রবাসে পাঠিয়ে দিয়েছে, এমন ধুম্রজাল পরিস্থিতিতে পুত্রবধুকে ফিরে আনতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে নালিশ করলে, বাবা মিশির আলী সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর না দিয়ে, প্রবাসী বাবুল দেশে আসলে তার স্ত্রীকে ফেরত দিবে বলে জানান।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিশির আলী জানান, আমার মেয়ে সুনামগঞ্জ আছে, দশ হাজার টাকা ভাড়া লাগবে, এখন আসা সম্ভব নয়, বাবুল আসলে দেখা যাবে।

    এ বিষয়ে সালিশকারক ও ইছাপুরা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ এর সভাপতি ইসহাক সরকার বলেন, বিষয়টা আমি মীমাংসার জন্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু মেয়ের বাবা মিসির আলী ছেলে প্রবাস থেকে না আসা পর্যন্ত মেয়েকে ফিরিয়ে দিবে না।

    ইছাপুরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল বলেন, বাবুলের মা আমার কাছে আসছিল পুত্রবধূর নাকি খুঁজ দিচ্ছেনা, আমি বলছি এলাকার মেম্বার ও সালিশকারীর কাছে পরামর্শ করতে।

    এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু আহমেদ বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ