বিজয়নগরে কমলা চাষে বাম্পার ফলন - রাষ্ট্রীয় ব্লগ | রাষ্ট্রীয় ব্লগ | জাতীয় ও মানবিক ঐক্যপ্রয়াস
  • অর্থনীতি

    বিজয়নগরে কমলা চাষে বাম্পার ফলন

      প্রতিনিধি ২৭ নভেম্বর ২০২২ , ৪:৪২:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    হীরা আহমেদ জাকির,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

    সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে মিষ্টি রসে টইটম্বুর হলুদ রঙের কমলা। সবুজ গাছগাছালির আড়ালে গড়ে উঠেছে মনোমুগ্ধকর চায়না কমলার বাগান। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা র্প্রন্ত গোটা বাগানের চারপাশে উৎসুক দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই থাকে। দূর থেকে দেখে মনে হবে এটা একটা পর্যটন কেন্দ্র।

    রসালো ফলের রাজ্য খ্যাত লাল মাটির এলাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দুলালপুর গ্রামে এই প্রথম চায়না কমলা চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। দুলালপুর গ্রামের আলমগীর ভূইয়া ২০ বছরের প্রবাস জীবনের ইতি টেনে দেশে কিছু করার অদম্য ইচ্ছা থেকেই কমলা বাগান করেন। এই জাতের কমলা বাগান বিজয়নগর উপজেলায় প্রথম চাষ করা হয়েছে। কমলা বাগানের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হওয়ায়, ইতিমধ্যে ব্যাপকভাবে সাড়া পড়েছে।

    বাগানে এসে নিজ হাতে গাছ থেকে কমলা ছিড়ে খাওয়ার সুযোগ থাকায়, দূরদূরান্ত থেকে পরিবার ও প্রিয়জনদের নিয়ে অনেকেই কমলা বাগানে আসছে। নিজ প্রচেষ্টা আজ বড় সফলতায় রূপ নিয়েছে। এই কমলা বাগানে বিজয়নগর উপজেলায় রীতিমত চমক সৃষ্টি হয়েছে।

    সাইপ্রাস,ডুবাই ও সৌদিআরব থেকে প্রবাস জীবনের ইতি টেনে, ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে চায়না কমলা চাষের সিদ্ধান্তে চুয়াডাঙ্গার মোহাম্মদ ওমর ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তার নিজস্ব বাগানে গিয়ে কমলা চাষের প্রশিক্ষণ শেষে চারা সংগ্রহ করে, চাচা থেকে দুই বিঘা বর্গা জমিতে ১৮০ টি চারা রোপণ করে বাগান শুরু করেন আলমগীর ভূইয়া। লোকজনের কটু কথায় নিরুৎসাহিত না হয়ে, শ্রম দিতে শুরু করেন। চারা রোপণ করার দু’বছর পর চায়না কমলার বাম্পার ফলন দেখে আলমগীর ভূইয়া এখন মহা খুশি।

    প্রবাস ফেরত কমলা চাষী আলমগীর ভূইয়া বলেন, কমলা বাগানের শুরুতে মানুষের কথায় অনেকটা বিব্রত হতাম। নিরাশ না হয়ে মন দিয়ে গাছের যত্ন নিয়েছি। কমলা চাষে বাম্পার ফলন দেখে আলহামদুলিল্লাহ, আমি অনেক খুশি। বাগানেই বিক্রি করছি।

    যারা গাছ থেকে নিজ হাতে কমলা নিতে আগ্রহী বাগানে এসে খেয়ে নিতে পারবে। এপর্যন্ত প্রায় দেড় টন কমলা বিক্রি হয়েছে, আনুমানিক আরও এক টন কমলা ইনশাআল্লাহ বিক্রি করতে পারব। তিনি আরও বলেন, লাল ও বালি মিশ্রিত মাটি কমলা চাষাবাদে উপযোগী। যাদের কম রোদের ছায়া বেষ্টিত জমি আছে ইচ্ছে করলে কমলা বাগান করতে পারে। প্রথম বছরেই খরচের টাকা উঠবে। কমলা বগান করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। বিজয়নগরের কেউ যদি কমলা বাগান করতে আগ্রহী হয়, তাহলে আমার সাথে পরামর্শ করলে সার্বিক সহযোগিতা করব।

    এবিষয়ে বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহমেদ বলেন, আলমগীর ভূইয়ার কমলার বাগানে আমি গিয়েছিলাম। ভাল ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে কয়েক বার কমলা চাষাবাদে পরিক্ষা মূলক চেষ্টা করা হয়েছে, আশানুরূপ সফলতা আসেনি।

    কমলা বাগানে তার এই সফলতা, এই অঞ্চলে কমলা চাষের একটি সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। যা এই অঞ্চলের কৃষিকে সমৃদ্ধ করবে। তার এই উদ্যোগ আর সফলতা প্রশংসনীয়। তার সফলতা দেখে নতুন যারা কমলা চাষে আগ্রহী, আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে বিজয়নগর উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে সবরকমের সহযোগিতা করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ