বিজয়নগরে 'মুক্তিযুদ্ধ মনুমেন্ট' উদ্বোধন - রাষ্ট্রীয় ব্লগ | রাষ্ট্রীয় ব্লগ | জাতীয় ও মানবিক ঐক্যপ্রয়াস
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া

    বিজয়নগরে ‘মুক্তিযুদ্ধ মনুমেন্ট’ উদ্বোধন

      প্রতিনিধি ৯ নভেম্বর ২০২৩ , ৭:৫১:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    রাষ্ট্রীয় ব্লগ রিপোর্টঃ

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মুকুন্দপুর যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ১৯ নভেম্বর প্রথম বিজয় লাভ করেন। সেই স্মৃতি সংরক্ষণে পর্যটন কর্পোরেশন এর অর্থায়নে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ মনুমেন্ট ও বিশ্রামাঘার উদ্ভোধন করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে এই মনুমেন্ট ও বিশ্রামাঘার উদ্ভোধনের পর মুকুন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে মনুমেন্ট ও বিশ্রামাঘার উদ্ভোদন করেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। পরে তিনি মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ এ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

    বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আল মামুন এর সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, বিজয়নগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এর সাবেক কমান্ড মোঃ দবির উদ্দিন ভূঁইয়া, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর মৃর্ধা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুল রহমান মান্না, বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন।

    উল্লেখ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর, সেজামুড়া ও তার আশপাশ এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধে ১৯ জন পাক সেনা নিহত করে উক্ত এলাকাকে শত্রুমুক্ত করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হতে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে স্বাধীনতা অর্জন করেন। তার স্মৃতি সংরক্ষণে ৮৬ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫৯ টাকা ব্যয়ে রাইজা ট্রেডার্স এর মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন মনুমেন্ট ও বিশ্রামাঘার নির্মাণ করেন পর্যটন কর্পোরেশন কতৃপক্ষ। এতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ ছাড়াও ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি বিশ্রামাঘার রয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ