প্রতিনিধি ১৫ নভেম্বর ২০২৪ , ৫:১৭:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
নুরে আলম জাহাঙ্গীর (নিজস্ব প্রতিবেদক)
২০১৬ সালের ১৫ই নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হওয়া সামাজিক সংগঠন ‘টুকরো হাসি’ আজ ৮ বছর পূর্ণ করলো।
বগুড়ার মেয়ে সাজিয়া সুলতানা মিমের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয় টুকরো হাসি নামের এই সামাজিক সংগঠন। ছোট্ট পরিসরে শুরু হওয়া টুকরো হাসি আজ ৯ বছরে পদার্পণ করেছে। বৃদ্ধি পেয়েছে সদস্য পরিধি।
সাজিয়া সুলতানা মিম তার বাবার চাকরির সুবাদে বেড়ে উঠেন রাজশাহীতে।
একদিন তার চোখে ধরা পড়ে এক নিদারুণ বাস্তবতা। তার চারপাশেই অসংখ্য সচ্ছল মানুষের বাস, পাশাপাশি আরেক দল মানুষ আছেন যাদের ঠিক মতো খাবার জোটে না, মানুষগুলো তীব্র শীত কাটিয়ে দেয় কোন রকম শীতবস্ত্র ছাড়াই। সমাজে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ছোট মিমের মনকে ভাবিয়ে তোলে। স্বপ্ন দেখার শুরুটা হয় সেখান থেকেই।
মিম তার বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তোলেন ‘শীতের হাসি’ নামে একটি সংগঠন। পরবর্তীতে কাজের পরিসর বাড়লে এর নাম হয় টুকরো হাসি’। সংগঠনটি ফান্ড সংগ্রহ করে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে।
মিম কবিতা লিখেন। তার কবিতা ত্রৈমাসিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
তার লেখা একক কবিতা গ্রন্থ ‘বৃদ্ধ গোলাপ’ বেশ সাড়া ফেলে পাঠক মহলে। কবিতা লেখার পাশাপাশি মিম নাটক ও বিভিন্ন স্বল্পদৈর্য চলচ্চিত্র তৈরি করে ইউটিউবে দেন। এই সব কাজের মাধ্যমে মিম এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন এবং কথা ও কাজের বাস্তবায়ন করে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হন। এখন অনেক দূর দূরান্ত থেকেও অনুদান পায় টুকরো হাসি।’
বন্যা থেকে শুরু করে অসংখ্য সামাজিক কাজ করেছে টুকরো হাসি’। হাসি ফুটিয়েছে অসংখ্য অভাবগ্রস্থ মানুষের।
২০১৬ সাল থেকে ‘টুকরো হাসি’ রোজার ঈদে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছে নিয়মিত। রাস্তার পাশে পরে থাকা ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ, শীতের মৌসুমে শীতবস্ত্র বিতরণ ও বস্ত্রহীনদের কাপড় কিনে দেওয়ার মতো কাজ প্রায়ই করে সংগঠনটি।
কখনো আবার মানুষের জন্য পায়ে হেঁটে বিভিন্ন সচেতনমূলক কাজ আর ক্যাম্পেইনও করে থাকে টুকরো হাসি’।
মিম জানান টুকরো হাসির প্রতিটি কাজ তার কাছে অন্যান্য কাজের চেয়ে বেণি অগ্রাধিকার পায়। এমনও হয়েছে পরীক্ষার আগের দিনও ক্যাম্পেইন করেছেন মিম ও তার বন্ধুরা।
টুকরো হাসির সদস্যদের মাঝে চাকরিজীবীও আছেন, তবে শিক্ষার্থীই বেশি।
বাবা জিয়ানুর রহমান ও মা রেহেনা আক্তারের চার ছেলে-মেয়ের মাঝে সিম ছোট। পড়ছেন ব্যবস্থাপনা বিষয় নিয়ে রাজশাহী নিউ ডিগ্রি কলেজে।