বাংলা প্রকাশনার মহীরুহু দে'জ পাবলিশিং - রাষ্ট্রীয় ব্লগ | রাষ্ট্রীয় ব্লগ | জাতীয় ও মানবিক ঐক্যপ্রয়াস
  • শিল্প ও সাহিত্য

    বাংলা প্রকাশনার মহীরুহু দে’জ পাবলিশিং

      প্রতিনিধি ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ , ৯:৩৮:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    রত্না মাহমুদা,ঢাকা।

    দে’জ পাবলিশিং ভারতের পাঁচটি বৃহত্তম বাংলা গ্রন্থ প্রকাশনার একটি। ৫০ বছর ধরে যাঁর পথচলা,পাঠক-গবেষক শিক্ষক শিক্ষার্থী একনামে দে’জ পাবলিশিং কে চেনে,তার কারণ বাংলা সাহিত্য পড়তে জানতে বুঝতে কিংবা গবেষণা করতে তাঁদের প্রকশনার বই প্রথম পছন্দ। বাংলা সাহিত্যের এমন কোনো সাহিত্যিক বাদ নেই।যাঁর বই দে’জ পাবলিশিং করেনি।শুধু সাহিত্যিক বললে ভুল হবে।অভিনেতা, চলচ্চিত্রকার,খেলোয়াড়, গায়ক,প্রযোজক,রাজনীতিবীদ প্রায় সকল পেশার মানুষের বই তাঁদের প্রকাশনার।

    আমার লেখার আগ্রহের জায়গা থেকে একটু বলতে হয়,আমি কীভাবে দে’জ পাবলিশিং এর কর্ণধার অপু দের সঙ্গে পরিচিত হই। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল লিট ফেস্ট-২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রথম পরিচয় হই। কিন্তু আমি তখনও জানতাম না, তিনি দে’জ পাবলিশিং -এর কর্ণধার আকাশ -সংস্কৃতির যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া সহজ করে দিয়েছে। আমি অপু দের সঙ্গে ফেসবুকে সংযুক্ত হই । বই কে আমি বইবন্ধু বলি।বইবন্ধুর খোঁজ লাগাতে -তথ্য নিতে আমি যে কাউকে অনায়াসে নক দিই।আমার একাডেমিক কাজে একটা বইয়ের সন্ধানে তাঁকে নক দেওয়া।তখন ২০২৩ সালের ৪৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা চলছে। প্রায় শেষের দিকে।

    ফেব্রুয়ারি ভাষার মাস, বাংলাদেশে এ মাসে বইমেলা শুরু হয়।কলকাতা বইমেলা শেষ করে চন্দ্রিল বাবু সহ অপু দে ঢাকায় আসেন।এসে আমায় কল দিয়ে জানান আমার বই তিনি নিয়ে এসেছেন।আমি তো রীতিমতো অবাক।বইয়ের তথ্য চাইলাম আর বই নিয়ে চলে আসলেন -তাও একটা নয় একই টপিকের দুটো।তখন জানতে পারি তিনি দে’জ পাবলিশিং -এর কর্ণধার। পরে আমি বললাম আমি ভাবছি অপু দে -দে’জ এর কামলা।কী আর করা সরি বলে নিলাম, তখন তিনি বলছেন আসলেই আমি কামলা, আমি মাস গেলে মাইনে পাই,এত নির্মোহ -নিরহংকারী মানুষ খুব কম আছে! অহংকারের ‘অ’-যাঁর মধ্যে নাই।

    আগামী ১৮ জানুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা,দে’জ পাবলিশিং এর স্টল নির্ধারিত হয়েছে- ৩২২।তাঁরা শুধু নিজেদের বই রাখে তা নয় অন্য প্রকাশনার বই। আমাদের বাংলাদেশের বইয়ের বৃহত্তম পরিবেশক প্রতিষ্ঠান দে’জ পাবলিশিং। কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় আমি যেতে পারব না,কলকাতায় গেলেও বইমেলায় যাওয়া হয়নি কোনোদিন।আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হবে ১৭ তারিখ,বইমেলা শুরু হবে ১৮ তারিখ চলবে পুরো জানুয়ারি মাস জুড়ে,যেতে পারব না বলে কী বইমেলায় বই কিনব না,অবশ্যই কিনব।ইয়া লম্বা এক বইয়ের তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছি দে’জ এর কামলা অপু দের কাছে!বই ও চলে আসবে সময়মতো। আপনিও চলে আসুন দে’জ পাবলিশিং -এর ৩২২ নাম্বার স্টলে । আপনারাও বই কিনুন।বই বন্ধু ফিরে ফিরে আসুক আপনার আমার সবার জীবনে। ৪৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা সফল হোক।প্রকাশক লেখক পাঠকে মুখরিত হয়ে উঠুক বইমেলার আঙ্গিনা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ