সরাইলে বাড়ি ভাড়া নিতে এসে মালিকের নামে মিথ্যা মামলা - রাষ্ট্রীয় ব্লগ | রাষ্ট্রীয় ব্লগ | জাতীয় ও মানবিক ঐক্যপ্রয়াস
  • নাগরিক সাংবাদিকতা

    সরাইলে বাড়ি ভাড়া নিতে এসে মালিকের নামে মিথ্যা মামলা

      প্রতিনিধি ৮ জানুয়ারি ২০২৩ , ৪:২৮:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

    রাষ্ট্রীয় ব্লগ রিপোর্টঃ 

    বাড়ি ভাড়া নিতে এসে এক পর্যায়ে বাড়ির মালিকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৫ নভেম্বর মো: খলিল মিয়া নামে এক ব্যক্তি বাড়ি ভাড়া নিতে আসে কিন্তু বাড়ির মালিক ভাড়া দেবে না বলে অনাগ্রহ প্রকাশ করলে পরদিন ১৬ নভেম্বর সকালে ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে ভোক্তাভুগী মালিক বাড়িতে গেলে মো: খলিল মিয়া বিভিন্ন রকম হুমকি দেয়। মালিক নিরুপায় হয়ে গ্রামের ঘন্যমান্য ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হয়ে ১৮ নভেম্বর গ্রাম্য সালিশ ডাকে। সালিশে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা, ওয়ার্ড মেম্বারসহ মুরব্বিগন। এই সালিশে সকলের সম্মতিক্রমে মো: খলিল মিয়া ১২ দিনের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার রায় হয়। পরে ১২ দিন পার হওয়ার পর বাড়ি না ছাড়লে ভুক্তভুগী মালিক মোছা: ঝরনা আক্তার শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করেন। চেয়ারম্যান মো: খলিল মিয়াকে ঢেকে নিয়ে আরও ১৫ দিনের সময়ের মধ্যে বাড়ি ছাড়া আদেশ দেন। কিন্তু ১৫ দিন পার হয়ে ১ মাস পার হওয়ার পরও বাড়ি ছাড়েনি। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের কাছে আবারও বিষয়টি জানালে চেয়ারম্যান ৭ জানুয়ারি সকালে একজন লোক পাঠিয়ে মো: খলিল মিয়াকে বাড়ি ছাড়তে বলে। কিন্তু চেয়ারম্যানের এ আদেশ অমান্য করে চেয়ারম্যানের পাঠানো লোকের ওপর আক্রমনের চেষ্টা করে মো: খলিল মিয়া। সকল ঘটনা চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি ভুক্তভুগী মালিককে এখান থেকে চলে যেতে বলেন। সকলে চলে গেলে এক পর্যায়ে মো: খলিল মিয়া বাড়ির মালিকের নামে মিথ্যা মামলার হুমকি দেন।

    ভুক্তভুগী মালিক মোছা: ঝরনা আক্তার বলেন, আমার বাড়িতে অবৈধভাবে থেকে আবার আমাকেই বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এখন এক পর্যায়ে আমার স্বামী, ছেলেসহ সকলের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিচ্ছে।

    এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো: খলিল মিয়াকে একাধিক বার ফোন দিলেও কোনোভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।

    শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চৌধুরী (বাদল) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় প্রথমে একটি সালিশে রায় হয়। এই সালিশের রায় অমান্য করে ওই ব্যক্তি(মো: খলিল মিয়া)। পরে আমিও একটি নির্দিষ্ট সময় দিয়েছি কিন্তু সেই সময়মতোও সে (মো: খলিল মিয়া) বাড়ি ছাড়ে নি। এখন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। বাড়ির মালিক ওই মহিলা (মোছা: ঝরনা আক্তার) ন্যায়ের পথে আছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ